পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন - লিপি বেগম (৪২), আফরোজা বেগম (৪০), হান্নান কবিরাজ (৫০), নজরুল কবিরাজ (৫৫), আনসার কবিরাজ(৪৬)। আহতদের সবার বাড়ি কুমারখালী গ্রামে।
আহত নজরুল কবিরাজ বলেন, আমার ভাইয়ের ক্রয় করা জমিতে রকিব কবিরাজের একটি চায়ের দোকান আছে। সেই দোকানে আমার ভাই তালা দিয়ে রাখে। ঘটনার দিন এশার আজানের পরে দেশীয় অস্ত্রসহ রকিব (৪২) তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে দোকানে হামলা চালায়। এ সময় হামলার বিষয়টি টের পেয়ে সেখানে আমার ভাইয়ের স্ত্রী আফরোজা এগিয়ে এলে তার ওপর আক্রমণ করা হয়। তার চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে গেলে রকিবের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপরে এলোপাথাড়ি হামলা চালায়।
তিনি বলেন, রকিব কবিরাজের বাহিনীর সঙ্গে নাসির কবিরাজ (৩৫), হাসমত কবিরাজ (৪৫), আব্দুল কুদ্দুস কবিরাজ (৫০), জব্বার কবিরাজ (২২), মামুন কবিরাজ (২৫), এনামুল কবিরাজ (২৬), চঞ্চল কবিরাজ (২০), চয়ন কবিরাজ (১৯), সজল কবিরাজ (২০), ছালবিন (১৮), রাসেদ (২০), আবুজর (১৮) পপি বেগম (৩৫), লাবনী বেগমসহ আরও ২০-২৫ জন হামলায় অংশ নেয়।
হামলাকারী রকিব কবিরাজের ছেলে আবুজর জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমাদের দোকানে তালা দিয়ে রাখা হয়। আমরা বন্ধ দোকানের তালা খুলতে গেলে আনসার কবিরাজ তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালে আমরাও পাল্টা হামলা চালাই। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হয়ে আমার বাবা ও চাচা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম শাহ হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।