বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা সরবরাহকারী চক্র। এই চক্রের কারণে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। জাল টাকার লেনদেনে জড়িত এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ তৎপর থাকলেও প্রতিকার এখনও অধরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার মৎস্যবন্দর আলীপুর—মহিপুর, বাবলাতলা, বালিয়াতলী ও বানাতী এলাকায় জাল টাকার লেনদেন সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। জাল টাকার মধ্যে ১০০০, ৫০০, ২০০ এবং ১০০ টাকার নোট বেশি প্রচলিত। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ধর্মীয় উৎসব যেমন ঈদ—উল—ফিতর, ঈদ—উল—আযহা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় এই চক্র বিশেষভাবে সক্রিয় হয়। এ সময় ভিড়ের সুযোগ নিয়ে তারা জাল টাকা চালানোর চেষ্টা করে।
বাবলাতলা বাজারে ইতিমধ্যে এই চক্রের কয়েকজন সদস্য ধরা পড়েছেন। জানা গেছে, তারা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জাল টাকা এনে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করতেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাল টাকার কয়েকটি ধরন রয়েছে। কিছু জাল নোট সহজেই চেনা যায়, আবার কিছু নোট এতটাই নিখুঁত যে তা আসল টাকার সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন। জাল টাকা সরবরাহকারীরা সাধারণত ভিড়পূর্ণ দোকান, গরু—ছাগলের হাট বা সাপ্তাহিক বাজারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়ে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম জানান, জাল টাকা চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। তিনি স্থানীয়দের এ চক্র সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া মাত্র পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেছেন।
জাল টাকার এই চক্রের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রতারণা রোধে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ ও স্থানীয়দের সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply