সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
লিফটের এই যুগে সিঁড়ির ব্যবহার অনেকটাই কমে এসেছে। তবু সিঁড়ি দিয়ে উঠলে অনেকের বুক ধড়ফড় করা শুরু হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এই অনুভূতি দ্রুত চলে যায়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হৃৎস্পন্দন উদ্বেগজনক হরে পারে। অনেকসময় এর কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সিঁড়ি বেয়ে উঠলে বুক ধড়ফড় করা কি স্বাভাবিক? নাকি এর পেছনে দায়ী অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা? চলুন জেনে নিই-
অক্সিজেনের প্রবাহ কমতে থাকে
সমতলে হাঁটার তুলনায় সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠা কঠিন। কারণ এটি মধ্যাকর্ষণের বিপরীতে ঘটে। বেশিক্ষণ সিঁড়ি দিয়ে উঠলে পায়ের পেশি ভারী হয়ে আসে। দেহে অক্সিজেনের প্রবাহ কমতে থাকে। এরপর হৃৎপিণ্ড আরও দ্রুত রক্ত পাম্প করে সারা দেহে ছড়িয়ে দেয়।
হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হতে পারে
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হার্ট আরও দ্রুত কাজ করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তাই এই ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সিঁড়ি বেয়ে উঠলে বুকে চাপের সৃষ্টি হয় না। কিন্তু হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস যদি নিয়মিত সমান দক্ষতায় কাজ না করে, তাহলে সিঁড়ি ভাঙলে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে বুক ধড়ফড় করে।
‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ কার্ডিয়োভাস্কুলার মেডিসিন’ এর তথ্য অনুযায়ী, যারা অলস জীবনযাপন করেন, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় তাদের হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ক্লান্তি, উদ্বেগ, পানিশূন্যতা
ক্লান্তি, উদ্বেগ, অতিরিক্ত ক্যাফিন, দেহে পানিশূন্যতার মতো বিষয়গুলো তৈরি হলে সামান্যতম পরিশ্রমেও হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। কারণ দেহে তখন অক্সিজেনের অভাব তৈরি হয়। ফলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলে বুকে চাপ অনুভূত হতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ
রক্তাল্পতা, থাইরয়েডের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে সিঁড়ি দিয়ে উঠলে বুক ধড়ফড় করতে পারে।
সতর্কতা
দ্রুত হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে বুকে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সহজ কিছু পরীক্ষা, যেমন ইসিজি, স্ট্রেস টেস্ট বা ইকোকার্ডিয়োগ্রামের মাধ্যমে, উপসর্গগুলো কতটা ক্ষতিকারক তা জানা সম্ভব।
Leave a Reply