মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
হিজলা উপজেলার উপকূলীয় ও মেঘনা নদীর মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করছেন হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে সফল এই কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়ে ১ নভেম্বর থেকে পুনরায় জাটকা শিকার চালু করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় কিছু মৎস্য মাফিয়া, ব্যবসায়ী ও ওই এলাকায় সক্রিয় এক বক্তৃতাসূচক মহল মিথ্যে অভিযোগ তৈরির চেষ্টা শুরু করেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অভিযানের ফলে উপকূলীয় অবৈধ জাল ও ট্রলার জব্দ হয়ে প্রথমে ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ী ও জেলেদের উপার্জনের। অভিযোগকারী মহলকে সুবিধা দিতে এবং অবৈধ শিকারের পথ খুলে দিতে পরিকল্পিতভাবেই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ওই অভিযানের ইস্যুতে এক জেলের স্ত্রী রহিমা’র নাম ব্যবহার করে তাকে বদলির অনুকূল করে সাজানো কৃত্রিম অভিযোগ তৈরির জন্য উদ্ধৃত করা হচ্ছে বলেও তারা জানান।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হিজলার কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ী স্থানীয় কয়েকজনের মাধ্যমে কথিত গুটি কয়েক সাংবাদিককে প্ররোচিত করে বিভ্রান্তকর সংবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। অভিযোগ, মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের পরিচালিত অভিযান চলাকালীন তিনি মেঘনা নদীতে মা ইলিশ—পর্যবেক্ষণে থাকা কালীন জেলে, বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল ও ট্রলার জব্দ করা হয়েছিল; সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এক জেলে ওই জাল ও ট্রলার লুটপাটের সুবিধা হারায়—এবং সেটি ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত শত্রুতা এবং স্বার্থান্বেষণের ধারায় বদলে দেওয়া হচ্ছে।তাকে সরাতে পারলে আসছে ১ নভেম্বর থেকে জাটকা শিকার করতে পারবে সহজে এই লক্ষে মাঠে নেমেছে মৎস্য ডাকাতরা লক্ষ্য একটা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বদলী করতে হবে আর সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মা ইলিশ অভিযানে আটক হওয়া এক জেলের স্ত্রী’ রহিমা কে।
স্থানীয়রা আরো বলছেন, মৎস্য উপদেষ্টার নির্দেশক্রমে জোরালো নজরদারির ফলে গত দুই বছরে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীতে অবৈধ শিকার অনেকটাই কমে এসেছে। এর ফলে সামুদ্রিক মাছ ও বিশেষত মা ইলিশ ও জাটকার নিরাপত্তা বেড়েছে। কিন্তু যদি এসব অভিযান স্থগিত বা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়, তাহলে অবৈধ শিকারের ঝুঁকি আবার বাড়বে—নিয়মবহির্ভূতভাবে জাটকা শিকারও পুনরায় শুরু হওয়া সহজ হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।এর আগে অক্টোবর মাসে হিজলার কতিপয় ব্যাক্তি ২০২১ সালের অক্টোবর এর মতোই ২০২৫ সালের অক্টোবরে বোরকা পড়া নারী দিয়ে, ষড়যন্ত্রের ছক করে মৎস্য অফিসারদের কে অপদস্ত হেয় করার চেষ্টা করে। একই নাটক ভিন্ন সময়ে সাজায়। প্রথমে কতিপয় ব্যাক্তি তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও ছাড়ে, বোরকা পড়া নারী কে দিয়ে, তারপর এরসাথে মনের মতো রং লাগায়। ষড়যন্ত্র করে অফিসারদের কে ঘায়েল করতে। মান সম্মানের কথা চিন্তা করে অফিসাররা চুপ করে থাকে। হিজলায় কতিপয় ব্যাক্তিদের বাটপারি ধরা পড়েছে সবার চোখে।
২০২১ সালে হিজলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিম বলেন আমি যখন সেখানের মৎস্য কর্মকর্তা ছিলাম তখন আমার থেকে অবৈধ স্বার্থ আদায় করতে না পেরে ও আমার সাথে মিথ্যা নগ্ন খেলায় মেত উঠে নারীকে ব্যবহার করে ছিল। তবে সেখানে কতিপয় ব্যাক্তি আছে যারা নদীতে অবৈধভাবে অবৈধ জাল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের করার জন্য গর্হিত কাজ করে। তাদের সহায়তায় রয়েছে নাম বিহীন মিডিয়ার কতিপয় ব্যাক্তিবর্গ।
অভিযান সম্পর্কে অবগত বলে জানানো হয়েছে যে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃইলিয়াস হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ অভিযানের বিষয়টি জানতেন। তবু কিছু লোক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা অভিযোগ রটিয়ে সরকারি পর্যায় থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বদল করানোর চেষ্টা করছে—এমন আশঙ্কা বহুল সমালোচিত কিছু স্থানীয় কর্তাব্যক্তি ও জেলেদের মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় মানুষ ও মৎস্যজীবীরা অনুরোধ জানাচ্ছেন—একজন সফল অভিযান পরিচালনাকারী অফিসারকে মিথ্যা অভিযোগে সরিয়ে দেয়ার আগে প্রকৃত তদন্ত করা হোক এবং মৎস্য রক্ষা, মা ইলিশ ও জাটকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা হোক। তারা প্রশাসনের কাছে ইতিবাচক ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন।
বরিশাল হিজলা মতস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন আমার বিরুদ্ধে এক অপরিচিত মহিলা কে আমার প্রতিপক্ষ হিসাবে দার করিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আসছে।জাটকা অভিযানে মাছ শিকার করার জন্য আমাকে সরিয়ে দিতে চাই যেন আমি না থাকলে কয়েকটি কুচক্রী মহল অবাধে অবৈধ জাল দিয়ে যেন মাছ শিকার করতে পারে।যে নারী আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে তাকে আমি কোন দিন চিনি না দেখিও না। তবে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে।আমি খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিব।
মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন আমি শুনেছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এক মহিলা অভিযোগ করেছে।তবে ঐ নারী মিথ্যা অভিযোগ করে যাচাই বাচাই করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হিজলা মেঘনা অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করে সফল অভিযানের দায়ে মোহাম্মদ আলমকে লক্ষ্য করে সূত্রপাত করা মিথ্যা অভিযোগ ও অপসারণের প্রচেষ্টার তথ্য পাওয়া গেছে; স্থানীয়রা এ দাবির বিরুদ্ধে সতর্ক—অভিযান অব্যাহত থাকলে অবৈধ শিকার বন্ধ থাকবে। প্রশাসনিক পর্যায়ে স্বচ্ছ ও অবিলম্বে তদন্ত দাবি করছেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply