সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
বরিশাল নগরীতে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলন থেকে ধরে নিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর শেষ কার্যদিবসে দায়ের করা মামলায় বিচারক মীর মো. এমতাজুল হক এ নির্দেশ দেন।
এজাহারে আসামি করা হয়েছে— কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান, মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সগীর হোসেন, কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাসিম ও কনস্টেবল বিশ্বজিৎকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদি তাসমিন ইয়াসমিন অভিযোগে উল্লেখ করেন, শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র ভাঙা ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯ আগস্ট নগর ভবনের সামনে সমাবেশ করেন তারা। তখন পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায় এবং কয়েকজনকে আটক করে। পরে মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সংলগ্ন ওয়াপদা কলোনিতে নিয়ে গিয়ে বাদিকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি এবং সরকারি কর্মচারী হিসেবে অসদাচরণ ও অপরাধ সংগঠনের অভিযোগে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে ডিবির পরিদর্শক সগীর হোসেন বলেন, “শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি হোসাইন আল সুহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ সময় ওই নারীসহ ৫/৬ জন জোরপূর্বক পুলিশ পিকআপে ওঠেন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, পরে তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছেন।”
Leave a Reply